অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘যুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা’ গল্প শোনান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
সোমবার (১৭ জুলাই ) বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব শাহ আলম সরদার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব শাহ আলম সরদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজী রেখে দেশকে স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পঞ্চগড়ে জেলার ৬০-৭০ জন যোদ্ধা শহীদ হন। দেশকে স্বাধীন করার জন্য তারা শহীদ হয়েছেন। দেশের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসার কারণেই তারা জীবন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বিদেশ ভ্রমণ করি তখন সেসব দেশে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। দেশে ফিরে আসতে মন ব্যাকুল হয়ে যায়। কখন বাংলাদেশে ফিরে যাবো এজন্য মন অস্থির হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘যুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা’ গল্প শোনান বীর প্রতীক আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহবুবুর রহমান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আইয়ুব আলী ও ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আলম। মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সেসব ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা গল্প শুনতে অনুষ্ঠানে অংশ নেয় উপজেলার তেঁতুলিয়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আজিজনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রনচন্ডী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কালান্দিগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শোনার সময় যুদ্ধের বিভিন্ন কিছু জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্মসচিব শাহ আলম সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উপসচিব মো নুরুল আমিন, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী ও মডেল থানার ওসি আরমান আলী প্রমুখ।
Leave a Reply